ইন্টারনেট বিপণন ওয়েব বিপণন, অনলাইন বিপণন , বা ই-বিপণন নামেও পরিচিত৷ ইন্টারনেটের মারফত পণ্য বা পরিষেবা প্রদানের ধরনই হল ইন্টারনেট বিপণন৷ বিপণনের জগতে ইন্টারনেট বেশ কিছু অনন্য সুবিধা হাজির করেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম হল কম খরচে এবং খুব কম সময়ে এক বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়৷ ইন্টারনেট বিপণনে সৃষ্টিশীলতা এবং প্রযুক্তির এক সুসংগত মেলবন্ধন ঘটে থাকে৷ ইন্টারনেট বিপণন শুধু কোন ওয়েবসাইটের রচনা, বা কোন অন্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, তা কোম্পানির নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ফলপ্রসূ করে তোলার দিকেও নজর দেয়৷ বিভিন্ন ব্যবসায়িক মডেলের সঙ্গে ইন্টারনেট বিপণনের সঙ্গে ই-বাণিজ্য, প্রকাশনা ইত্যাদির নাম জড়িয়ে আছে৷
পরিচ্ছেদসমূহ
শিল্পমহলে প্রভাব
সংগীত, চলচ্চিত্র, ব্যাঙ্ক সমেত একগুচ্ছ শিল্পে এর গভীর প্রভাব রয়েছে৷ বাজারের মালিকানার দিক থেকে রেডিও বিপণনের চেয়ে ইন্টারনেট বিপণনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বিশেষতসঙ্গীত শিল্পে ইন্টারনেটের মারফত ব্যবসার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাছে৷ গ্রাহকেরা সরাসরি ইন্টারনেট থেকে গান পয়সা দিয়ে ডাউনলোড করছেন৷ বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অনলাইন পরিষেবা প্রদান করার বহর অনেক বেশি চোখে পড়ছে৷ গ্রাহকদের কাছেও অনলাইন পরিষেবা অনেক বেশি অভিপ্রেত কারণ এর ফলে তাদের ব্যাঙ্কে যাওয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না৷ দ্রুত গতির ইন্টারনেট কানেকশেন অনলাইন পরিষেবার মান উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে৷ইন্টারনেট মারফত নিলাম, ই-ভাণ্ডারের মতো সুবিধাগুলির ইন্টারনেট বিপণনের অঙ্গ৷ অনলাইন বিজ্ঞাপনের জগৎও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এমনকি বর্তমানে ভোটের প্রচারেও ইন্টারনেট বিপণনের সাহায্য নেওয়া কোন নতুন বিষয় নয়। প্রথম বিশ্বের দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও ব্রডব্যাণ্ড গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
নিরাপত্তাগত দিক
অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে কোম্পানি এবং গ্রাহক উভয়ের তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ অনলাইনে দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য ব্যক্তিগত থাকবে কিনা সে বিষয়ে অনেকেই সংকোচ প্রকাশ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা এড়িয়ে চলেন।অতিসাম্প্রতিককালে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বাইরে পাচার করার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। ই-বাণিজ্যের অপর এক অসুবিধার দিক হল কেনাকাটা করা সামগ্রীর গুণগত মানের ব্যাপারে সংকোচ প্রকাশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন