১। ফ্রী হ্যাকিং সফটওয়্যার প্রতারনা
হ্যাকিং করার অন্যতম একটা পদ্বতি হল বিভিন্ন হ্যাকিং সফটওয়্যার বা টুল ব্যাবহার করা। মূলত প্রকৃত হ্যাকাররা যেসব টুল ব্যাবহার করে হ্যাকিং করে থাকেন সেসব সফটওয়্যার অনলাইনে totally rare।তবে এটাও অমান্য করার মত না যে খুজতে জানলে ইন্টেরনেটে সব পাওয়া যায়। থাকলেও অনেক টুল আছে যা ফ্রীওয়্যার না টাকা দিয়ে কিনতে হয়।এরপরও বিভিন্ন সাইট কিছু কিছু হ্যাকিং টুল ফ্রী তে দিয়ে থাকে বা ট্রায়াল ভারসন।অনেক Script kiddie অথবা বিভিন্ন হ্যাকাররা এসব টুল অনলাইনে ছাড়ে। এগুলো কিছুটা উপকার দিলেও অনেক সফটওয়্যার আছে যা প্রতারনা মাত্র। যেমন উদাহরনস্বরুপ এমন দুটো সফটওয়্যার এর নাম ''dpwallinone password finder'' এবং 'PassWord Hunter V2.1'।দেখতে মনে হয় এগুলু দিয়েই মেইল,ফেইসবুক হ্যাকিং করা যাবে।কিন্তু না।কেউ ট্রাই করে দেখতে চাইলে এই লিঙ্কে বেড়াতে যান...। http://sites.google.com/site/hackfacebookintwominutes/
এরকম আরো সফটওয়ার পাবেন যা এমনকি আপনার পিসি বা ইমেইল উল্টো হ্যাক করতেও পারে।এগুলো ইন্সটল
করার সাথে হিডেন কীলগার আপনার পিসিতে ইন্সটল হতে পারে যা অনায়াসে আপনার সব তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে।এক্ষেত্রে শত্তিশালী এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করা বাঞ্চনীয়।মূলত হ্যাকিং এর কাজটা এমন নয় যে আপনি একটা সফটওয়ার কোন মতে ডাউনলোড করে সেটা দিয়েই সব হ্যাক করতে পারবেন।প্রকৃত হ্যাকার যারা তারা কি এমন যে আরেক জনের তৈরী কোন টুল বা সফটওয়ার কোন মতে সংগ্রহ করে হ্যাকিং করে চলছে?এরা হল কম্পিউটার প্রোগ্রামার আর এদের মাঝে অসাধূ প্রোগ্রামাররাই সাধারনত হ্যাকিং করে থাকে।কম্পিউটার সিস্টেম সম্পর্কে এদের প্রচুর ধারনা থাকে তারা সিস্টেম এর programming bug বা কোন একটা দূর্বল পয়েন্ট কে কাজে লাগিয়েই কাজ করে।এরা তাদের প্রয়োজন অনূযায়ী হ্যাকিং টুল তৈরী করে কাস্টমাইজ করে হ্যাকিং করার কাজে ব্যাবহার করে।এটা ক্ষতিকর কাজ হলেও আসলে এদের মেধা অস্বাভাবিক নিথুত।
এ ব্যাপারে কিছু সতর্কতা
- প্রথমে এটা হার্ড ড্রাইভে সেভ করে রাখেন বর্তমানে এমন টুল আবিস্কৃত হয়নি যে কোন মেইলের ইউজারনেইম প্রবেশ করিয়ে এন্টার চেপে মনিটরে চেয়ে থাকবেন আর আপনাকে কিছক্ষন পর পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবে। এমন যদি কোন টুল এর সন্দ্বান পান কোন সাইটে তবে উহা ১০০% প্রতারক।
- হ্যাকিং টুল বা সফটওয়ার ডাউনলোড করে ভাইরাস স্ক্যানিং রতে ভুলবেন না।ভাইরাস ডিটেক্ট হলে প্রোগ্রামটি রান করবেননা ডিলিট করে দেয়াই নিরাপদ।
- এইসব হ্যাকিং সফটওয়ার দিয়ে পাসওয়ার্ড ক্রাক করতে গেলে ফেক আইডি আর পাসওয়ার্ড দিবেন যদি চায়।
- (না থাকলে একটা নতুন আইডি খুলে তারপর দিবেন কারন সময় বাচাতে গিয়ে আপনার গুরুপ্তপূর্ন মেইল আড্র্যেস আর পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করলে তা নির্মাতার কাছে অনায়াসে চলে যেতে পারে)
- এইসব হ্যাকিং টুল রান করার আগে আপনার ব্রাউজারের সেভ করা পাসওয়ার্ড মুছে দিন। এই তথ্যও নির্মাতার হাতে চলে যাওয়া কোন ব্যাপার না।
- সফটওয়্যারটা ডাউনলোড করার আগে এটার screen shot একবার সার্চ করে দেখতে পারেন। সফটওয়্যারটা
- কেমন হতে পারে তার একটু ধারণা পেতে পারেন। আর কোন হ্যাকিং টুল কিনতে গেলে সাবধান! আগে সফটওয়ারের নামের সাথে scam/does'nt work/is fake লিখে গুগল সার্চ করে যাচাই করে নিন। অন্যদের (যারা এটা কিনেছে) মতামত পড়ে নিন এই সফটওয়ার সম্পর্কে।
- *উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল কেউ বন্দ্ব করে রাখলে চেক করে নিন।বন্দ্ব থাকলে অন করুন। আইপি লুকানোর প্রয়োজন মনে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন